Blogger.com এ blog খোলা বা অ্যাকাউন্ট তৈরী করার জন্য যে বিষয়গুলো আমাদের লাগবে

ব্লগারে ব্লগিং করার জন্য শুরুতেই আমাদের কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে বা ঠিক করে রাখতে হবে।

starting blog


1. ব্লগের একটি নিস বা বিষয় ঠিক করা

প্রথমেই আমরা আমাদের ব্লগের একটি নিস বা বিষয় ঠিক করব। অর্থাৎ আমরা কোন বিষয় নিয়ে আমাদের ব্লগে লেখালিখি করব। বিষয় যে কোনো কিছু হতে পারে যেমন- টেকনোলজি, স্বাস্থ্য, টিউটোরিয়াল যেখানে আপনি যে কোনো বিষয়ে মানুষকে শেখাতে পারেন ইত্যাদি। এছাড়া আপনি চাইলে আপনার দৈনন্দিন জীবনের ঘটনা বা ডায়েরী লিখতে পারেন। এমনকি আপনি আপনার ভ্রমণ  অভিজ্ঞতা নিয়েও লিখতে পারেন। আপনি চাইলে একটি নিউজপেপার বা পত্রিকাও তৈরী করতে পারেন। সবচেয়ে ভাল হয় আপনি যে বিষয়ে দক্ষ বা যে বিষয়ের প্রতি আগ্রহী সেই বিষয় নিয়ে লিখুন। তবে অবশ্যই কোনো মিথ্যা, নোংরা, বিদ্বেষমূলক কোনো বিষয়ে লিখা যাবে না। এতে আপনি Google Adsense পাবেন না।

2.একটি জিমেইল অ্যাকাউন্ট তৈরী করা

প্রথমেই আমরা আমাদের ব্লগের নামের সাথে মিলিয়ে বা যে কোন নামে একটি নতুন জিমেইল অ্যাকাউন্ট তৈরী করব। কিভাবে একটি জিমেইল অ্যাকাউন্ট তৈরী করতে হয় তা নিচের ভিডিও থেকে দেখে নিন:-




3. ব্লগারের/ ব্যান্ড‘র নাম ঠিক করা

ব্লগের "Author/ Display name" যা ব্লগ তৈরীকারীর নাম বা অন্য যেকোন কিছু হতে পারে। তবে এমন একটি নাম বাছাই করব যেটাকে নিয়ে আমার ভবিষ্যত পরিকল্পনা রয়েছে। যেটাকে আমি একটা ব্যান্ড হিসেবে দাড় করাতে চাই। প্রতিটি বিষয়ই আসলে ভবিষ্যত পরিকল্পনা অনুযায়ী সাজাতে হবে।

4. ব্লগের "Title" টাইটেল বা নাম দেয়া

ব্লগের "Title" টাইটেল আমরা অবশ্যই ব্লগের সুন্দর একটি টাইটেল দেওয়ার চেষ্টা করব। গুগলে যখন সার্চ করি তখন সবার আগে ব্লগের টাইটেল দেখায়। তাই টাইটেলে অবশ্যই ব্লগের নাম বা ব্যান্ড নাম রাখার চেষ্টা করব।

5. ব্লগের "url" ঠিক করা 

ব্লগের "url" ব্লগটি আসলে কি নামে পরিটিত হবে। যেমন Facebook.com. এখানে ফেসবুক হচ্ছে একটি নাম আর ফেসবুক ডট কম হচ্ছে ইউআরএল। তো আমাদেরও একটি সংক্ষিপ্ত, সহজে উচ্চারণ করা যায় এমন একটি নাম বাছাই করব। যেহেতু আমরা ফ্রিতে ব্লগিং করছি তাই আমরা একটি সাব ডোমেইন পাব। যেমন Facebook.blogspot.com
চাইলেই ইচ্ছেমত যেকোন নাম পাওয়া যায় না কারন আমাদের মতো কেউ না কেউ তা আগেই  তৈরী করে ফেলেছে। তাই আমরা বেশ কয়েকটি নাম বাছাই করে রাখতে পারি।

6. থিম নির্বাচন

কাস্টম থিম যা আমরা অনলাইন থেকে ফ্রিতে ডাউনলোড করব। অবশ্য আমরা চাইলে কিনতেও পারি। তবে প্রাথমিকভাবে ফ্রি ব্যবহার করা উচিত।
Previous Post Next Post